বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি পাল্টে দেওয়া সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। স্বাধীনতার পর সরকার নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিকে বেসরকারি খাতে নিয়ে আসতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে সংগঠনটি। চলতি বছর পথ চলার ৫০ বছর উদযাপন করছে এফবিসিসিআই।
আশির দশকে বৈদেশিক রপ্তানি খাতের প্রায় ৯০ শতাংশের নেতৃত্বে ছিল সরকার। তবে নিজেদের মেধা ও দক্ষতায় এ চিত্র পরিবর্তনে, খুব বেশি সময় নেয়নি বেসরকারি খাত।
পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে সরকার নয় বরং বেসরকারি খাত রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় পুরোটাই দখলে নিয়েছে। তবে এমন উত্থানের পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। সরকারের সঙ্গে নানান পলিসি নিয়ে দেন-দরবার আর ব্যবসায়ীদের চলার পথ সহজ করতে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ সংগঠনটি।
সামনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠন। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারের এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে গবেষণাভিত্তিক বাণিজ্য কৌশল নিয়ে এগোতে চায় এফবিসিসিআই। আমাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য, প্রযুক্তি ও গবেষণাভিত্তিক আর্থিক কাঠামো তৈরি করা। বাংলাদেশে এখন প্রাইভেট সেক্টরে ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদি হচ্ছে। এগুলো এক সময় চিন্তাও করা যায়নি। অথচ বাংলাদেশে এখন মোট অর্থনীতির ৮২ শতাংশ প্রাইভেট সেক্টর লিড করে। এই যে পরিবর্তন। এর সঙ্গে এফবিসিসিআই ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, আমরা একটি ইনোভেশন সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিজনেস সামিট শেষ হওয়ার পরে ইনোভেশন সেন্টারটি ফর্মালি চালু করব।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, আজকে দেশে ব্যবসায়ীক যে নীতি এবং সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সবকিছুর পেছনেই এফবিসিসিআই পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছে।
সংস্থাটির সাবেক আরেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এফবিসিসিআই এবং সরকার হাতে হাত রেখে দেশের উন্নয়নে যে কাজ করছে এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ভিশন ২০৪১ অর্জন করতে পারব।
এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১১ থেকে ১৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে ২০০ এর বেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী অংশ নেবে।