
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
গতকাল রবিবার (৫ মার্চ) বিকেল পাঁচটা ১৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল নিশ্চিত করে। এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা বাজার মরা গাছতলা ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সন্দেহভাজন যুবক আটক

কক্সবাজারের উখিয়ার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছে দুই সহস্রাধিক ঘর। এ ঘটনায় ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা। আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টি জানা সম্ভব না হলেও সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করেছে বলে জানিয়েছে ৮ এবিপিএনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
রবিবার বিকেল তিনটার দিকে বালুখালীর ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ব্লকের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ৯, ১০ ও ১২ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা বলেন, রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এটি নির্ধারণে সময় লাগবে।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) সিনিয়র সহকারী সচিব সরওয়ার কামাল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুই হাজার বসতঘর পুড়ে গেছে। এটা আরও বাড়তে পারে। আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের জন্য কাজ করছি।’
এদিকে, ক্যাম্পের এই আগুনকে পরিকল্পিত নাশকতা বলছেন রোহিঙ্গারা। ওই ক্যাম্পের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা আবলু কামাল, আবদুল গফুর ও শামসুল আলমসহ অন্যরা জানিয়েছেন, আরসা সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এই আগুনের সূত্রপাত করেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যান ১৫ জন রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো বসতঘর পুড়ে যায়। ওই বছরের ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পে জাতিসংঘ অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালে আগুন লাগে। এতে কেউ হতাহত না হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের ১৬টি কেবিন পুড়ে যায়। ওই বছরের ৯ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা নামের একটি শরণার্থী শিবিরে আগুনে প্রায় ৬০০ বসতঘর পুড়ে যায়।