Home রাজনীতি স্বজনহারাদের সহানুভূতি না জানিয়ে দেশে আনন্দ ফুর্তি চলছে:  জিএম কাদের

স্বজনহারাদের সহানুভূতি না জানিয়ে দেশে আনন্দ ফুর্তি চলছে:  জিএম কাদের

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দেশের মানুষ শোকাহত। যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের আহাজারি চলছে। স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি না জানিয়ে দেশে আনন্দ ফুর্তি চলছে। দেশের একদিকে আহাজারি অন্যদিকে আনন্দ ফুর্তি। 

সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধী পক্ষ আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে কিনা-তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি নাশকতা হয়েই থাকে, তাহলে সরকার নাশকতা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। নাশকতা ঠেকাতে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় মহিলা পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জি এম কাদের এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, নারীদের ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের সব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। আন্দোলন সংগ্রামে নারীদের আরো এগিয়ে আসতে হবে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, নারীকে বাদ দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম অসম্ভব। আগামী নির্বাচনে জাতীয় মহিলা পার্টিকে আরও শক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেন, নারীকে পুরুষের চেয়ে দুর্বল ও অধম ভাবার একটি চর্চা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনো রয়েছে, এর পরিবর্তন হতেই হবে।
তিনি বলেন, নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈরিতা থাকলে চলবেন না। একে অন্যের সহযোগী হতে হবে। পুরুষকে নারীর প্রতি সংবেদনশীল ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
সালমা ইসলাম এমপি আরও বলেন, এখনো বিভিন্ন স্থানে নানা পর্যায়ে নারীরা নির্যাতিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত এবং অধিকারবঞ্চিত। সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত হাতে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম আরও বলেন, আমরা অনেক উন্নতি করেছি। আমাদের মেয়েরা অনেক এগিয়েছে। পরীক্ষার ফল থেকে শুরু করে চাকরি, ব্যবসা, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন নারীরা।

সালমা ইসলাম বলেন, আমি মনে করি আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এই যে অবস্থানে এসেছেন এর নেপথ্যের কারিগর তার স্ত্রী শেরিফা কাদের। তেমনিভাবে আমাদের প্রিয় মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর আজকের এ অর্জনের পেছনেও রয়েছেন তার সহধর্মিনী।

নারী দিবস পালনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার নিউইয়র্কের সমাজতন্ত্রীবাদী কর্মী এবং গার্মেন্টস শ্রমিক থেরেসা মার্কাইল প্রথমে নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য সমাবেশ করেন।

সালমা ইসলাম বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্মে নারীকে অনেক অধিকার দিয়েছে। আমাদের অজ্ঞতার কারণে আমরা অনেকেই তা জানি না। পবিত্র কোরআনে নারীদের অধিকারের বিষয়ে অনেকগুলো আয়াত আছে।
বিশেষ অতিথির বক্ততায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদের এমপি বলেন, নারীর অধিকার রক্ষা এবং বৈষম্য দূর করতে নারীকেই এগিয়ে আসতে হবে। নারীর মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম আহবায়ক নাজমা আখতার এমপির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, মহিলা পার্টির নেতাদের মধ্যে ডা. সেলিমা খান, অধ্যাপিকা বিলকিস আখতার পুতুল, খাইরুন নাহার, রিতা নূর, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, শাহনাজ পারভীন, আইরিন গমেশ ও রেশমা।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ দিদার বখত, মহিলা পার্টির নেত্রীদের মধ্যে তাসলিমা আকবর রুনা, মিনি খান, শারমী আখতার, মেহেরুন্নেসা হিয়া, শ্যামলী, রীনা, কিয়া মাসুদ।
যুব সংহতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এমপি এবং বিশেষ অতিথি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক এইচ এম শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন।
বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, যুব সংহতির কেন্দ্রিয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন হেলাল, সাইফুল ইসলাম, নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, দ্বীন ইসলাম শেখ।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment