Home জাতীয় চট্টগ্রামে নিম্নমুখী  ছোলার 

চট্টগ্রামে নিম্নমুখী  ছোলার 

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

 

সেই গেল রমজান মাস। বাজারে চিনি, ছোলা, পেঁয়াজসহ কিছু পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে এ মাসে। চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সামঞ্জস্য না থাকলে প্রভাব পড়ে মূল্যের ওপর। চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেওয়া হয়েছে শুল্কছাড়। এর ফলে কদিন আগে দামে কিছুটা নি¤œমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এখন ফের বাড়তির দিকে। কমেছে ছোলার দাম, তবে পেঁয়াজের দর বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, রোজার শুরুতে একসঙ্গে প্রচুর কেনা হয় বলে সরবরাহের ওপর চাপ পড়ে। সে জন্যই এই বৃদ্ধি। দাম আবারও কমে যাবে বলে জানাচ্ছেন তারা। অবশ্য চিনির বাজার নিয়ে নিশ্চিত করে ধারণা দিতে পারছেন না কেউ। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে চিনি আসছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রোজা যতই ঘনিয়ে আসছে ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ে উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। এটি শুধু এবারের রোজাতেই নয়, প্রতিবছরই রোজা ও ঈদ সামনে রেখে চিনি, ছোলা, তেল, খেজুরসহ চার থেকে পাঁচ ধরনের পণ্যের ব্যবসা হয়ে থাকে জমজমাট। আমদানিকারক ও পাইকাররা এই মৌসুমটির অপেক্ষায় থাকেন। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভাবনা এখন ভোগ্যপণ্য ঘির্।ে খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা দোকানে পণ্য তুলতে শুরু করেছেন।
ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এখন এলাহী প্রস্তুতি। পাইকাররা অপেক্ষা করছেন খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের জন্য। কিন্তু বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। তবে ট্রাকের সারি একটু একটু করে বাড়ছে। সামনেই রোজা। মজুদের বেশিরভাগ পণ্য রমজানের আগেই বিক্রি হয়ে যায়। আগামী কদিনের মধ্যে আসবে অত্যধিক চাপ। পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, বাজার এখন মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। তবে মূল্য যা বাড়ার আগেই বেড়ে গেছে।
খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, বাজারে পণ্যের কোনোই ঘাটতি নেই। একমাত্র চিনি ছাড়া বাকি সব পণ্যের মূল্য নি¤œমুখী দাবি করে তিনি বলেন, আমরা পণ্য নিয়ে বসে আছি। কিন্তু সে তুলনায় এখনো বেচাবিক্রি নেই। খুচরা পর্যায়ের চাপ পুরোপুরি আসেনি।
রবিবার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিমণ (৩৭ কেজি) চিনির মূল্য ৪ হাজার ১২০ টাকা, যা তিনদিন আগে ছিল ৩ হাজার ৯৫০ টাকা। তাহলে মণপ্রতি ১৭০ টাকা বেশি, যা কেজিতে দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এখনও শুল্ক সুবিধার আমদানির চিনি আসেনি। খুচরা পর্যায়ে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১১৫ টাকায়। তারা বলছেন, এগুলো আগের দামে কেনা। পাইকারিতে দাম কমলে খুচরাতেও কমে আসবে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার ইফতারির অপরিহার্য খাদ্যপণ্য ছোলার দাম নি¤œমুখী। ভারতীয় ছোলার দাম রবিবার ছিল প্রতিকেজি ৮০ থেকে ৮১ টাকা, যা ক’দিন আগে ছিল ৯০ টাকা। আর অস্ট্রেলিয়ার ছোলা ৮০ টাকা থেকে ৭৩ টাকায় নেমেছে। এর বাইরে একমাত্র পেঁয়াজ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের বাজার স্থিতিশীল বলে জানাচ্ছেন তারা।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment