Home Lead 5 বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করার কোনো প্রশ্নই আসে না- তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করার কোনো প্রশ্নই আসে না- তথ্যমন্ত্রী

রাজনৈতিক কাকদের নিয়ে বিএনপি সৃষ্টি – তথ্যমন্ত্রী

by Nahid Himel

নিউজ  ডেস্ক    ৷৷   তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,আওয়ামী লীগ যাদের পরিত্যাগ করেছে নমিনেশন দেয়নি .বিএনপি তাদের কাছে টাকা নিয়ে নমিনেশন দিয়ে এমপি মন্ত্রী বানিয়েছে।তাই আওয়ামী লীগ নয়.  রাজনৈতিক কাকদের নিয়ে বিএনপি সৃষ্টি ।

গতকাল  বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিবের ‘বিএনপি সংলাপে যাবে না’-এ বক্তব্যের সূত্র ধরে হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, আমরা কি তাদেরকে সংলাপে ডেকেছি?

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে কোনো সংলাপের তো প্রয়োজন নাই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিও নাই। আমরা যদি ডাকতাম তাহলে তাদের সেই কথা বলার সুযোগ থাকত যে, তারা সংলাপে আসবে কিনা।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’ বিএনপির এ অবস্থানের বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হয় না। উনারা যদি আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায়, সেটার কোনো সুযোগ নাই। কারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না।’

তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারত, ইংল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন জার্মানি, ফ্রান্স এবং আরও অনেক দেশে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আমাদের দেশেও সেটি হবে। এ প্রশ্নে সংলাপ করার প্রশ্নই আসে না।

গত নির্বাচনে ‘বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য’ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে ৩০০ আসনে ৯০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো এ ঘটনা ঘটেনি। আমার নির্বাচনি এলাকায় প্রথমে দেখলাম একজন নমিনেশন পেয়েছে, পরে দেখি ওটা উল্টে গেছে, আরেকজন পেয়েছে। তারপর দেখলাম যে ধানের শীষ বিক্রি করে এলডিপিকে দিয়েছে এবং এর প্রতিবাদে বিএনপির মহিলাকর্মীরা ঝাড়ু মিছিল করল।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে এ ধরনের বেচা-বিক্রি করেছে। সে কারণে ৩০০ আসনে ৯০০ নমিনেশন দিয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক সাহেব একটা দেন, ফখরুল সাহেব আরেকটা দেন, রিজভী সাহেব আরেকটা দেন, উনাদের তিনজনের টানাটানিতে যেটা জেতে সেটা ফাইনাল। তাদের নির্বাচনে খুব খারাপ ফল করার পেছনে এগুলো বড় প্রভাব ফেলেছে।

হাছান বলেন, আমাদের দলে পরীক্ষিত নেতাকর্মী- যাদের জনপ্রিয়তা আছে তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ একটা আদর্শিক দল, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা কিংবা কর্মীকে বাদ দিয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আমলা কিংবা বড় ব্যবসায়ীদেরকে আমরা নমিনেশন দিই না। অনেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশন না পেয়ে বিএনপিতে গিয়েছিল এবং মোটা অংকের টাকা দিয়ে নমিনেশন পেয়েছিল। পরে তারা মন্ত্রীও হয়েছিল। এ ধরনের প্র্যাকটিস বিএনপিই করে কারণ বিএনপি তো সৃষ্টিই হয়েছে ক্ষমতার হালুয়া রুটি বণ্টন করে রাজনীতির কাকদের নিয়ে।

‘মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, খন্দকার মোশাররফ সাহেব সবাই অন্য দল করতেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দলছুট নেতাদের, রাজনীতির কাকদের নিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। সেই কারণে তাদের মধ্যে আদর্শ নাই, তাই তারা এভাবে পদ বাণিজ্য করে, নমিনেশন বাণিজ্য করে।’

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment