বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সিনেমাটি স্বাধীনতা যুদ্ধসহ নির্মম সেই স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়: নানক

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার শো’তে নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে এই ছবিটি দেখার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আসলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। আমি বঙ্গবন্ধু কে একদম কাছ থেকে দেখেছি। এই ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটি দেখে যে কারও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। কিভাবে বাংলাদেশের একজন স্থপতিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যেভাবে নিজের পরিবারকে ছেড়ে হানাদার বাহিনীর জেলহাজতে গেলেন। সেই দৃশ্যটি দেখলে যে কারও চোখে পানি চলে আসবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই ছবিটি দেখলে দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হবে। দেশের জন্য একজন বঙ্গবন্ধু কতো দরকার ছিল। তা প্রতিটি মানুষের মনে তাই অনুভূত হবে। ছবিটি দেখলে যে কারও চোখে জ্বল চলে আসবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও তার পরিবার নিয়ে চমৎকার একটি সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে। যারা ছবিটি নির্মাণ করেছেন এবং  যারা অভিনয় করেছেন এক কথায় অসাধারণ একটি ছবি।

নেতাকর্মীদের পাশাপাশি, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকার সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে শিক্ষকরা জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে ছবিটি উপভোগ করেন।

এর আগে একই সিনেমা হলে দুপুর আড়াইটার শো’তে পুরো হলটি বুক করে আদাবর এলাকার কয়েক’শ নেতাকর্মীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক উপভোগ করেন আদাবরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহী এন রিয়াদ। এ সময় আদাবর এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জীবনি নিয়ে যে বায়োপিক টি দেখলাম। এতে মনে হলো চোখের সামনেই আমরা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে কাছ থেকে দেখেছি। কিভাবে একটি সাধারণ মানুষ থেকে সারাদেশের মানুষের কাছে তিনি অসাধারণ হয়ে ওঠলেন। তার বজ্র কন্ঠে একটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দিলেন। এ সময় নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা চাই প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সরকার উদ্যোগ নিয়ে ছবিটি দেখানোর ব্যবস্থা করুক। তাতে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই আমাদের এই  দেশের স্বাধীনতা উপলব্ধি করতে পারবে।