মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তারা সর্বোচ্চ সাহায্য করেছে। কিন্তু এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি ভারতের চেয়ে আমরা ১৭-১৮টা সূচকে এগিয়"/>
Home জাতীয় ভারতের চেয়ে ১৭-১৮ সূচকে এগিয়ে বাংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ভারতের চেয়ে ১৭-১৮ সূচকে এগিয়ে বাংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তারা সর্বোচ্চ সাহায্য করেছে। কিন্তু এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি ভারতের চেয়ে আমরা ১৭-১৮টা সূচকে এগিয়ে আছি। যাদের থেকে একসময় আমরা অনুগ্রহ লাভ করেছিলাম এখন তারাও আমাদের কাছে চাইতে পারে। আমরা দিতে প্রস্তুত এবং আমরা দিয়েছিও বিভিন্নভাবে।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের সংবর্ধনা প্রদান ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ২০৪১ গঠনে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের করণীয় বিষয়ক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের (বিজেআর‌এফ) সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ড এটি আয়োজন করে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আজ আমরা এ অবস্থায় আছি। পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে আমাদের কোনো উন্নয়ন হয়নি। চার পাঁচ মাইল কাঁচা রাস্তা হেঁটে আমরা স্কুলে গিয়েছি। বিদ্যুৎ ছিল না। পূর্ব পাকিস্তানের পাট এবং চা বিক্রি করে ৮০ ভাগ বৈদেশি মুদ্রা অর্জিত হতো আর পশ্চিম পাকিস্তানের তুলা বিক্রি করে ২০ ভাগ। খরচের সময় আমাদের অংশে ১৮ ভাগ আর ওদের অংশে ৮০ ভাগ। সর্বক্ষেত্রেই বৈষম্য ছিল।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা পাকিস্তানি সৈন্যদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। কিন্তু তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস এ দেশ থেকে যায়নি। জামায়েতে ইসলাম রাজনৈতিকভাবে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। মা-বোনদের গণিমতের মাল বলে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করেছে। সেই জামাতে ইসলামও এখন‌ও আছে। আমাদের সাথেই মিলেমিশে আছে।

মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারকারীদের সমালোচনা করে বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই। না হলে গণতন্ত্র থাকত না। গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত‌ই হলো বিভিন্ন মত ও আদর্শের অবস্থান। কিন্তু স্বাধীনতাকে যারা অস্বীকার করে তাদের জাতি কি বলবে আমি জানি না।

মোজাম্মেল হক বলেন, এক মাস আগে এক বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বললেন পাকিস্তান আমল এর চেয়ে ভালো ছিল। কোন সূচকে ভালো ছিল আমাদের জানা নেই। এটা আমি সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে বিচার দিলাম’।

জয় বাংলাকে যারা শুধু আওয়ামী লীগের স্লোগান বলে তাদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অন্য রাজনৈতিক ঘরানার দল‌ও এই স্লোগান দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে এটা ছিল আমাদের জাতীয় চেতনার রণধ্বনি। এটা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই’।

জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও এরশাদের সরকার এ দেশের উন্নতি চায়নি দাবি করে মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অন্য শাসকদের ২৬-২৭ বছর আর বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার ২২ বছরের শাসনামল তুলনা করলেই বোঝা যাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা এ দেশ চালিয়েছিল তারা এ দেশের উন্নতি চায়নি’।

সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে হবে উন্নত বাংলাদেশ। বুধবার সকালে মেট্রো রেলের উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্মার্ট‌ বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন’।

শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে ঠিক পথে রাখার জন্য বর্তমান ও পরের প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে মনে হয় এটা ক‌ওমি মাদরাসা। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনাশর্তে ঋণ দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুষ্ঠুভাবে বীর নিবাস তৈরি করা, আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি উঠে আসে। আলোচনা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের হাতে পদক ও সম্মাননা তুলে দেন।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment