প্রকল্পটির অংশ হিসেবে দেশের পাঁচ জেলা- রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং বরিশালে সরাসরি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই অ্যাপ্লিকেশনে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এবং তাদের সমসংখ্যক অভিভাবক সরাসরি যুক্ত হয়ছে।
এ ছাড়া জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবকরা নির্বাচিত স্কুলগুলিতে ভ্রমণ করে এবং ইন্টারনেট সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং উত্পাদনশীল স্ক্রিন টাইম প্রচার করতে বিভিন্ন সেশনে শিক্ষার্থীদের লেটস রিড অ্যাপ্লিকেশন থেকে প্রশিক্ষণ দেয়। তারা প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা লিফলেটসহ তাদের পিতামাতার ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য শিক্ষার্থীদের গাইড করে।
দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ এ বিষয় বলেন, ‘এশিয়া ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে যে শিশুদের চরিত্র এবং থিমসহ এমন বই দরকার যা তাদের জীবনকে প্রতিফলিত করে। এবং বিশ্বকে অন্বেষণ করার সুযোগ দেয়। একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের জন্য কৌতূহলী এবং শিক্ষিত পাঠক তৈরি করতে, শিশুদের মানসম্পন্ন বইয়ের অ্যাক্সেস থাকতে হবে। ‘
তিনি আরো বলেন, “দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন, জাগো ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ‘লেটস রিড’ উদ্যোগটি চালু করেছে, যেখানে শিশুদের বিনামূল্যে বই অন্বেষণ করার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। এই অ্যাপ থেকে অফলাইন ব্যবহারের জন্য প্রতিটি বই ডাউনলোড এবং মুদ্রণ করা যেতে পারে। ”
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক করভী রাকসান্দ বলেন, ‘আমাদের শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার এবং উত্পাদনশীল স্ক্রিন টাইম সম্পর্কে সচেতন করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য লেটস রিড টুগেদার একটি উদ্যোগ। তারা গল্প, রঙিন ছবি, আকর্ষণীয় চরিত্র এবং তাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত থিম দিয়ে ভরা বিভিন্ন ধরনের ই-বুক খুঁজে পেতে পারে এই অ্যাপ-এ। ’