সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নাছিমা আক্তার নামে একজন হজযাত্রী অভিযোগ করেছেন, ২০২০ সালে তিনি, তার মেয়ে এবং বড় ছেলেসহ তিনজনের মোট ১৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৯ লাখ টাকা এজেন্সির কর্ণধার নাসির উদ্দিনকে অগ্রিম পরিশোধ করেন। পরে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে হজ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় অর্থ ফেরত চান। কিন্তু এজেন্সি কিস্তিতে সাড়ে তিন লাখ টাকা ফেরত দেয়। অবশিষ্ট সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা এখনও ফেরত দেয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে এজেন্সির মালিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এজেন্সির মালিক নাসির উদ্দিন নোটিশের লিখিত জবাবে তদন্ত কমিটির নিকট স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এরপরও প্রাপ্য অর্থ ফেরত দিতে টালবাহানা করেন তিনি। পরে ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন এবং তদন্ত কমিটি অভিযোগকারীর অভিযোগ সত্য বলে নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এ জন্য ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ অনুযায়ী এন জেড ফাউন্ডেশন অ্যান্ড হজ মিশনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, জরিমানার অর্থ দ্রুত সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে চালানের মূল কপি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগে দাখিল করতে হবে। অন্যথায় এজেন্সির ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে।