আওয়ামী লীগ ওয়াদা রক্ষা করে : সরকারের উন্নয়নকাজের সমালোচকদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা যা যা চেয়েছিলেন আমরা সেগুলো কিন্তু একে একে করে দিচ্ছি মানুষকে। তাঁর যে স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করা আমাদের লক্ষ্য। এত কাজ করার পরও কিছু লোক আছে, তাদের কোনো কিছু ভালো লাগে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ যেটা বলে, মানুষের জন্য যে ওয়াদা করে, সে ওয়াদা আওয়ামী লীগ রক্ষা করে। এটা হলো বাস্তবতা। সার কথা হলো, আওয়ামী লীগ যে কথা দেয়, সে কথা রাখে। জাতির কল্যাণে আমরা কাজ করি এবং মানুষ তার শুভ ফল পাচ্ছে।
দেশের পরিবর্তন অনেকেই নিতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের যে পরিবর্তন ঘটেছে, আমি জানি এটা অনেকেই নিতে পারে না। নানা ধরনের কথা রটায়। কিন্তু মানুষের জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাটসহ যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি আমরা করেছি। এটাকেও অনেকেই স্বীকার করতে চায় না। করতে চাইবেও না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। সে জন্য বিদেশ থেকে অনেক টাকা খরচ করে খাবার আনা হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে সেটা দেওয়া হচ্ছে।
চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তির গুরুত্ব দিচ্ছি : দেশের কোথাও জমি পতিত না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি আমার এলাকায় (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) খুঁজে দেখলাম প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমি আছে অনাবাদি। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আনাবাদি জমিতে আবাদ করার একটা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের বাইরেও অনেক জমি রয়ে গেছে। আমি উদ্যোগ নিয়েছি, আমার ওখানে যত অনাবাদি জমি রয়েছে, সেখানে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আবাদ করা।’
বেকার থাকার কোনো সুযোগ নেই : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ ইচ্ছা করলে বেকার থাকতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেকার থাকার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা এত সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনেক ছেলেমেয়ে কিন্তু এখন গ্রামে বসে টাকা উপার্জন করছে।’
গতকাল দলের যৌথ সভায় জাতীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের অন্তত ২০ জন নেতা বক্তব্য দেন।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, সভায় জাতীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন নেতা দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলই বর্তমানে আওয়ামী লীগের জন্য বড় সমস্যা বলে মত দেন। একাধিক নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি যতই চেষ্টা করুক, আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারবে না। বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী দল। কিন্তু আওয়ামী লীগের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই। নেতাদের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থার দ্রুত নিরসন জরুরি।