Home Lead 1 প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রাজশাহীতে  যাচ্ছেন ৷৷  ব্যাপক প্রস্তুতি ব্যাপক সাড়া ৷৷  থামছে না কোন্দল

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রাজশাহীতে  যাচ্ছেন ৷৷  ব্যাপক প্রস্তুতি ব্যাপক সাড়া ৷৷  থামছে না কোন্দল

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel
 আগামীকাল   রাজশাহীতে যাচ্ছেন  আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষ্যে উত্তরবাংলায় সাজসাজ রব পড়ে গেছে৷  প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফর ও জনসভা সফল করতে ইতিমধ্যে রাজশাহীতে উত্তরবাংলার বটগাছখ্যাত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংগঠনিক যোগ্যতা ও দক্ষতা নিংড়ে দিয়ে কয়েক লাখ লোক  সমাগমের  অসাধ্য সাধনের কাজটি ইতিমধ্যে  সাধন করে ফেলেছেন।
রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণকালের বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষনে তাঁর সরকার আমলে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক জীবন ব্যবস্থা উন্নয়নের অসাধ্য সাধনের নানাদিক তুলে ধরবেন।মানবদরদী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হাত খুলে দিয়ে রাজশাহীবাসীর জীবন মানের উন্নয়ন ঘটিয়ে শান্তির মহানগরী উপহার দিয়েছেন তারজন্য আমরা রাজশাহীবাসী নেত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাবো।
লিটন জানান,  প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভায় ঐতিহাসিক মাাদ্রাসা মাঠ জনসমুদ্র্রে পরিনত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে  প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় মেয়র লিটন প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রাজশাহী আসছেন বলে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিনত করা হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৃণমূলের দল। তাই তৃণমূলের মানুষেরাই এই জনসভার মূল চালিকা শক্তি।

লিটন বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯ বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে মহান সৃষ্টিকর্তার অসীম করুনায় ফিরে এসে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন, তা আমাদের কল্পনাতীত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ফেসবুক পোস্টে পাকিস্তানীরা আফসোস করে বলেছেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু হয়েছে, এছাড়াও পাকিস্তানের চেয়ে সকল সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তারা বিস্মিত হয়েছে, কিভাবে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়? কেনই বা পাকিস্তান বাংলাদেশের মতো হয় না!
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশর উন্নয়নের জাদুকর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে জনসভা করার যে আশা ব্যক্ত করেছেন- এটা রাজশাহীবাসীর জন্য সৌভাগ্য। তাই নিজ নিজ এলাকায় সরব ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি নেকাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করা হবে। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ জনসমুদ্র্রে পরিনত করা হবে।

 প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষেওথামছে না

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কোন্দল

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর সফর কর্মসূচি থাকলেও থামছে না দলীয় কোন্দল। বরং সফরকে কেন্দ্র করে এক সংসদ-সদস্যের সঙ্গে আরেকজনের, এমপিদের সঙ্গে উপজেলা নেতার, জেলা নেতাদের সঙ্গে উপজেলা বা মাঠের নেতাদের কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। এসব নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পালটাপালটি পোস্ট দিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে।তবে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে রাজশাহীতে চলছে বিশাল প্রস্তুতি। ২৯ জানুয়ারি দিনভর প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফরের কর্মসূচি রয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মহানগরীর সর্বত্র জোর প্রচার চলছে। হচ্ছে প্রচার মিছিল ও সভা-সমাবেশ।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফর উপলক্ষ্যে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সিঙ্গা এনসিডিপি মার্কেটে উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে প্রধান অতিথি করা হয়। প্রধান বক্তা করা হয় রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের বর্তমান সংসদ-সদস্য ডা. মনসুর রহমানকে।

প্রস্তুতি সভা শুরু হলে অতিথিরা মঞ্চে বসেন। এ সময় ডা. মনসুর এমপির সমর্থকরা হট্টগোল শুরু করেন। ডা. মনসুর এমপিকে কেন প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি করা হয়নি-এই দাবি তুলে তারা হট্টগোল শুরু করলে দারা সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়। এ কারণে সভাটি ভন্ডুল হয়ে যায়। সভা ভন্ডুলের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা পক্ষের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষ ডা. মনসুর রহমান এমপির অনুসারীদের দায়ী করেছেন। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দুপক্ষই পরস্পরকে দায়ী করে পালটাপালটি সোস্যালমিডিয়ায় পোষ্ট করে চলেছেন।

রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা ডেকেছিলেন দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগ। সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে সভাটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। তবে সভা না হলেও আমরা একটি প্রচার মিছিল করেছি।

এ সম্পর্কে ডা. মনসুর রহমান বলেন, খুব ছোট একটি বিষয়। দুর্গাপুর-পুঠিয়ার সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত জনসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।

এছাড়া রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ-সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে তার নির্বাচনি এলাকার নেতাকর্মীদের একাংশের বিরোধ দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফরের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে আগের কোন্দল এখন প্রকাশ্যে এসেছে।তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলার রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে স্থানীয় পৌরসভা চত্বরে ১২ জানুয়ারি প্রস্তুতি সভা করেন। প্রকৃত আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রস্তুতি সভাটি হয়।

সামাজিক মাধ্যমে এটা দেখে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী রাজশাহী-১ আসনের সংসদ-সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী ১৩ জানুয়ারি রাব্বানী-মামুনকে লক্ষ্য করে তাঁর ফেসবুক পেজে তীব্র কটাক্ষ ও হুমকিমূলক পোস্ট দেন। ফারুক চৌধুরী লেখেন, ‘দেশে না থাকলে মেছোবাঘের গর্জন শোনা যায়। দেশে ঝোপঝাড় এমনিতেই কমে গেছে। সুতরাং মেছোবাঘ লুকানোর পরিবেশ খুব একটা নেই। আর যাদের ঝোপে মেছোবাঘ পাওয়া যাবে তারাও বিপদে পড়তে পারেন।’

এমপি ফারুকের এই পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়। একই দিনে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী এমপি ফারুককে লক্ষ্য করে পালটা পোস্ট দেন।

গোলাম রাব্বানী ডাঁশ বোলতার একটি চাক দিয়ে পালটা পোস্টে লেখেন, ‘মেছোবাঘ তো দূরের কথা। অনেক ক্ষেত্রে ছোট ছোট এই প্রাণী বড় বড় জীবজন্তুকেও ঘায়েল করে ফেলে। কথাটা মনে রাখা দরকার। চরম দাম্ভিকতা পতনের মূল।’ রাব্বানীর এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য লিখে শতাধিক নেতাকর্মী তাঁর প্রতি সমর্থন জানান।

তানোরে গোলাম রাব্বানী ও মামুনের সঙ্গে এমপি ফারুকের দা-কুমড়া সম্পর্ক বহুদিনের। রাব্বানী-মামুন  অনুসারীরাই তানোরে রাজনীতির মাঠ দখলে রেখে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ছাড়াও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকেন।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment