গত বুধবার পর্যন্ত এসব পণ্যের ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টনের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। এসব পণ্য দেশে আসতে শুরু করেছে। রমজানের আগেই সব পৌঁছে যাবে। চলতি জানুয়ারি মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলার পরিমাণ যথেষ্ট বেড়েছে। সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলে এসব পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
মুখপাত্র বলেন, বুধবার পর্যন্ত এসব পণ্যের মধ্যে চিনির ঋণপত্র খোলা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৪৯৩ মেট্রিক টন। ভোজ্য তেলের এলসি খোলা হয়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছে তিন লাখ ৫২ হাজার ৯৬০ টন।
খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৮২ টন, গত বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন। রোজা আসার আগে এলসি খোলা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয় বেড়েছে, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে। পুরনো আমদানি ব্যয় নির্বাহ করতে এখনো ব্যালান্স অব পেমেন্টে ঘাটতি থাকলেও শিগগিরই এ ঘাটতি থাকবে না। এতে ডলারের সংকট দূর হবে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি কখন নিয়ন্ত্রণে আসবে, বলা যাবে না। কিছু ব্যবসায়ী বলছেন রোজায় ব্যবহৃত পণ্য আমদানি করতে এলসি খুলতে পারছে না, ব্যাংক এলসি খুলতে রাজি হচ্ছে না—প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, মোট এলসি খোলার চিত্র সে কথা বলছে না।