গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় প্রাক্কলিত হিসাবের চেয়ে ৩১ ডলার কম হয়েছে। এ সাময়িক হিসাবে এই আয় ছিল ২ হাজার ৮২৪ ডলার। চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় ৩১ ডলার কমে ২ হাজার ৭৯৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মাথাপিছু আয়ের কমার পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাবও ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। গত অর্থবছরের শেষের চার মাসের বেশি সময় গেছে উত্তাল যুদ্ধের মধ্যে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সেই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগ কমেছে। সব মিলিয়েই জিডিপি প্রবৃদ্ধি খানিকটা কমেছে। এর ফলে মাথাপিছু আয়ও ৩১ ডলার কমে গেছে।
তবে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই প্রবৃদ্ধি ‘খুবই ভালো’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৭ দশমিক ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এটাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। জিডিপির এই তথ্য হিসাবের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের এদিক-সেদিক করা হয়নি। সারা দেশ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, সেটাই প্রকাশ করা হয়েছে।’
একই সময়ে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কিছুটা বেড়েছে আর কমেছে সরকারি খাতে। সাময়িক হিসেবে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ছিল। তবে চূড়ান্ত হিসেবে তা বেড়ে ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ হয়েছে। আর সরকারি বিনিয়োগ ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ থেকে কিছুটা কমে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।