ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে শতভাগ ‘অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর’ (এলডি ট্যাক্স অথবা জমির "/>
Home জাতীয় শতভাগ অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় রাজস্ব সংগ্রহ বাড়বে : ভূমি সচিব

শতভাগ অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় রাজস্ব সংগ্রহ বাড়বে : ভূমি সচিব

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

 ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে শতভাগ ‘অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর’ (এলডি ট্যাক্স অথবা জমির খাজনা) আদায় শুরু হলে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপিত নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্র থেকে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করার সময় ভূমি সচিব এ সব কথা বলেন।
ভূমি সচিব এ সময় স্থানীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের আহবান জানান। একই সাথে তিনি মাঠ পর্যায়ে পুরাতন নামজারির ডাটা এন্ট্রির ব্যাপারেও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ এ উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু অনলাইনেই ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ৩৭৫ কোটি টাকা এবং আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ম্যানুয়ালি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর কেবল অনলাইনেই দেয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে ভূমি সচিব আরও বলেন, রাজধানীর ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপিত নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্র থেকে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে এ সেবা সম্প্রসারণ করা হবে। জেলাভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকগণকে ভূমিসেবা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হবে এবং এজন্য প্রাইভেট এজেন্টশীপ নীতিমালা করা হচ্ছে।
সচিব জানান, কলসেন্টার ১৬১২২ ছাড়াও এসব সেবা কেন্দ্রে নাগরিকরা সরাসরি গিয়ে ভূমিসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া প্রাইভেট এজেন্ট কার্যক্রম মনিটরের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক নাগরিক কমিটি করা হবে।
সভায় প্রদর্শিত এক সচিত্র প্রদর্শনীতে দেখা যায় বিভাগীয় শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপিত ভূমিসেবা কিয়স্ক ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল। কিয়স্ক বিভিন্ন জনবহুল এলাকা যেমন- স্টেশন, বিপণী-বিতান, অফিস কমপ্লেক্স ইত্যাদি জায়গায় পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, নাগরিক প্রয়োজনীয় ফির বিনিময়ে প্রয়োজনীয় আবেদন ও জমির খতিয়ান প্রিন্ট করতে পারবেন। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, ডিজিটাল রেকর্ড রুম, আন্ত:জেলা ভূমি বিরোধ, ভূমি অফিস নির্মাণ, জনবল নিয়োগসহ প্রভৃতি ভূমি বিষয়ক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সমন্বয় সভায়।
ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিকসহ বাংলাদেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং ভূমি মন্ত্রণালয় ও আওতাভুক্ত দপ্তর বা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment