সরেজমিন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোতাহার মৃধার ছোট ভাই সিদ্দিক মৃধার ঠিকাদারি কাজের মালামাল নেওয়ার জন্য ব্রিজের মধ্যাংশে বালুবাহী জাহাজ দিয়ে ধাক্কা দেন।
এতে ব্রিজের মধ্যের অংশ খুলে পড়ে যায়। পরে সিদ্দিক মৃধা রাতের আঁধারে শ্রমিক দিয়ে সেতুটির মাঝখানের খুঁটিগুলো খুলে একপাশে বেঁধে দেন। ব্রিজের উপর কিছু বাঁশ দিয়ে মানুষের হাঁটাচলার উপযোগী করে দেন তিনি।
স্থানীয়রা বলেন, আমতলীতে সিদ্দিক মৃধার অনেক ক্ষমতা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস এ এলাকায় কারও নেই। আমরা কথা বললে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেবে।
এমনকি মারধরও করতে পারে। থানাও তাদের কিছু করতে পারে না। এ বিষয়ে সিদ্দিক মৃধা এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনারা যেমন সাংবাদিক, আমাদেরও ভাইবেরাদার সাংবাদিক আছে।
কেউ খবর দিয়েছে তাই এসেছেন। এটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। ব্রিজের খুঁটি খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, একজন নাগরিক হিসাবে আমার একটা দায়িত্ব আছে।
মানুষ ব্রিজের মালামাল নিয়ে যাবে। এজন্য আমি লোকজন এনে ব্রিজের খুঁটি খুলে একপাশে ঝালাই করে রেখেছি। কেউ যেন মালামাল চুরি করে না নিয়ে যেতে পারে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রিজটি আগে থেকেই একেবারে অকেজো হয়ে আছে।
আমরা পরিদর্শন করে ইতোমধ্যে টেন্ডার দিয়েছি। তবে সরকারি ব্রিজ ভাঙার অধিকার কারও নেই। যিনি ব্রিজটি ভেঙেছেন অপরাধ করেছেন। এসময় তিনি জানান, এটা অকশনে দিয়ে পুনরায় একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।