জেলায় ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে বুড়ি তিস্তা সেচ প্রকল্পের জলাধার পুণঃখনন কাজ। এই জলাধার পুণঃখনন কাজ শেষ হলে জেলার ডিমলা ও"/>
Home Lead 5 ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় সাড়ে ৫ হাজার একর জমি পাবে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা

ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় সাড়ে ৫ হাজার একর জমি পাবে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

জেলায় ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে বুড়ি তিস্তা সেচ প্রকল্পের জলাধার পুণঃখনন কাজ। এই জলাধার পুণঃখনন কাজ শেষ হলে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার সাড়ে ৫ হাজার একর জমি পাবে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা। 

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়- এতে প্রতিবছর বাড়তি ফসল উৎপাদন হবে ২৬ হাজার টন। যার বাজার মূল্য ৭২ কোটি টাকা। এমন সেচ সুবিধায় জ¦ালানী এবং সার বাবাদ সাশ্রয় হবে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উর্ধ্বগামী ও মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার আজ বাসসকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকল্পটির ব্যরাজ এলাকা জলঢাকা উপজেলার কালিগঞ্জ নামক স্থানে খনন কাজ শুরু হয়। উদ্বোধন করেন- সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার।
তিনি জানান, ১৯৬৫ সালে স্থাপিত হয় বুড়ি তিস্তা সেচ প্রকল্পটি। পুরনো ওই প্রকল্পের জলাধারে পলি পড়ে তলদেশ ভরাটের কারণে কমে যায় পানি ধারণ ক্ষমতা। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পুনরায় সেটি চালুর উদ্যোগ নিলে ২০২১ সালে আমন মৌসুমে এক হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচ প্রদান করা সম্ভব হয়। প্রকল্পটি থেকে নিরবিচ্ছিন্ন সেচ সরবরাহের লক্ষ্যে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বিত করতে ২০২১ সালের ৪ মে একনেকে ১৪৫২ দশমিক ৩৩ কোটি টাকার অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পের অংশে ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি প্যাকেজে ১ হাজার ২১৭ একরের ওই জলাধারটির প্রথম ধাপে ৬৬৭ একরে পুণঃখনন কাজ শুরু করা হয়েছে। যা সমাপ্ত হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment