আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার জাফরাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির সরঞ্জাম এবং একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। এ ছাড়া তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোহেল (৩৫) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোহেল জ্যাক-জামালের কাছ থেকে চুরি করা মালামাল কিনতেন। গতকাল রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন, ‘গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর মিরপুর বড়বাগ পলিভিটা বেকারি এলাকায় সংঘটিত সেই চুরিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৩টি মোবাইল সেট, একটি ল্যাপটপ, ২০টি মেমোরি কার্ড, ৫০০টি রিচার্জ কার্ড, নগদ অর্থসহ আনুমানিক এক লাখ ৫২ হাজার ৭৭৫ টাকার মালামাল চুরি করেন জ্যাক-জামাল। সেই চুরির দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জ্যাক-জামালকে শনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
‘জ্যাক- জামাল চুরির টাকায় পিকআপ ভ্যান কিনেছেন’ জানিয়ে মিরপুর মডেল থানার ওসি বলেন, ‘সেই পিকআপ ভ্যানে চড়েই পরে চুরি করতেন তারা। চুরির মালামাল বহনের জন্য গাড়ি কেনার পরে তারা এক রাতে চার জায়গায় চুরি করেছে এরকম তথ্য পাওয়া গেছে। পরে এই পিকআপ ভ্যানে করেই চুরির মালামাল বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতেন তারা। চুরির টাকায় তারা শুধু গাড়িই কেনেননি, চোরাই মালামাল রাখার জন্য আলাদা বাসাও ভাড়া করেছেন। সব মালামাল এক সঙ্গে বিক্রি করলে ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকে, তাই ওই বাসাকে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করে সেখানেই চুরির মালামাল রাখতেন তারা।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এক রাতে তারা সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত চুরি করেছে। সাধারণত রাস্তার ওপরে থাকা ছোট ছোট পান-সিগারেটের, মোবাইল রিচার্জের, মুদির দোকানকেই টার্গেট করে তারা। কারণ এসব দোকানদার সাধারণত অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের হয়। তাই চুরি করলেও তারা মামলা করে না। এ কারণেই দেড় শতাধিক চুরি করলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা খুবই কম। তাদের বিরুদ্ধে আগে বেশ কয়েকটি মামলার পাশাপাশি আবার নতুন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা