Home Lead 1 গুলিস্থান বিস্ফোরণে নিহত ১৮ ; পরিচয় মিলেছে ১৭ জনের ৷৷ প্রধানমন্ত্রীর শোক ৷৷ আহতদের=চিকিৎসা দিতে ঢামেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি =

গুলিস্থান বিস্ফোরণে নিহত ১৮ ; পরিচয় মিলেছে ১৭ জনের ৷৷ প্রধানমন্ত্রীর শোক ৷৷ আহতদের=চিকিৎসা দিতে ঢামেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি =

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

রাজধনীর গুলিস্থান বিস্ফোরণে নিহত ১৮l ১৭ জনের নাম জানা গেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ এই তালিকা প্রকাশ করেছে। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজধানীর গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত ১০টা পর্যন্ত) ১৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৯)। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লাশের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। বহু মানুষ উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছেন। সড়কে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাঁচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত আশেপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন। ঘটনার পর রিকশা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক ও অ্যাম্বুল্যান্সসহ যে যেভাবে পেরেছেন আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন।

গুলিস্তানে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক

 রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন বিষয়টি জানিয়েছেন। শোক বার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৮)।

বিস্ফোরণে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা ঘোষণা

রাজধীনীর পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণের নিহতদের স্বজনদের আপাতত ৫০ হাজার টাকা সহায়তার ঘোষণা করেছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপাতত নিহতের স্বজনদের দেয়া হবে ৫০ হাজার টাকা, গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে ২৫ টাকা আর অল্প আহতদের দেওয়া হবে ১৫ হাজার টাকা।

যাতায়াত ও খাবারের ব্যবস্থাও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে করা হবে বলে তিনি জানান। জরুরি বিভাগে  বুথ করে এই সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। একে একে বাড়তে থাকে ইউনিটের সংখ্যা। স্থানীয়রাও হতাহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন শতাধিক। ভবনের বেজমেন্টেও অনেকে আটকা পড়েন।

ওই ঘটনায় দুর্ঘটনাস্থলে নিহতদের মরদেহ এবং আহত শতাধিক ব্যক্তিদের ঘটনার পরপরই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতদের মরদেহ হস্তান্ত

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে নিহত ১৭ জনের নাম জানা গেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ এই তালিকা প্রকাশ করেছে। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজধানীর গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশের ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত ১০টা পর্যন্ত) ১৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৯)।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লাশের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। বহু মানুষ উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছেন। সড়কে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাঁচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত আশেপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন। ঘটনার পর রিকশা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক ও অ্যাম্বুল্যান্সসহ যে যেভাবে পেরেছেন আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন।

 

আহতদের চিকিৎসা দিতে ঢামেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য ; সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতদের দেখেতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, এখানে (ঢামেকে) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময় ওয়ার্ডে, আইসিইউতে- যার যেখানে দরকার সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি সিস্টেমে সব চিকিৎসক ও নার্সকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। আমরা আশপাশের সব হাসপাতাল প্রস্তুতরেখেছি। ডাক্তাররাও রেডি আছেন। এখানে সমস্যা হলে বার্ন ইউনিটেও রোগী রাখতে পারবো।
আহতদের অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাথায় আঘাত পেয়েছে বেশি। রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিছুলোক পুরো থেঁতলে গেছে। বার্ন ইউনিটে ৭ জন ভর্তি আছে। দুয়েক জনের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। অনেকে ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে এখন এখানে আসছে। সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওষুধ যন্ত্রপাতির অভাব নেই।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment