আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ওপর সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হয়েছে। রমজান মাস ও ঈদ সামনে রেখে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দিকে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সরকার। যাতে করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করতে না পারে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। একইসঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে মানুষের ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ১৬ মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের সঙ্গে রবিবার জরুরি বৈঠক করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিতে ২৮ নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ডলার সংকটের কারণে আমদানির এলসি (ঋণপত্র) করার ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহের অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ থাকায় এবার ভোগ্যপণ্যের আমদানি হ্রাস পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যসমূহের মূল্য বেশি থাকায় স্থানীয় বাজারে মূল্য বেশি, ফলে অভ্যন্তরীণ মার্কেটে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ইফতার তৈরিতে বেশি ব্যবহার এমন পণ্য যেমন- চিনি, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ ও আটার দাম এখন সবচেয়ে বেশি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি, গরু-খাসির মাংস এবং মাছও। তবে মসুর ডাল, সরিষা ও পেঁয়াজের স্থানীয় উৎপাদন মৌসুম সদ্য শেষ হওয়ায় এ সকল পণ্যের স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শাক-সবজির দাম ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এবার একই সময়ে প্রায় ২০ লাখ টন গম আমদানি কম হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাবে বাজারে সব ধরনের আটা ও ময়দার দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানিও কম হয়েছে।