গ্রামীণ টেলিকমের এমডি, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ দুই আইনজীবীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) সংক্রান্ত অপরাধ অনুসন্ধানে তাদের ডাকা হয়েছে। এসব টাকা ছিল শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের।
এই চারজন হচ্ছেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল ইসলাম, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী, আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ ও গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে তলব করা হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট তাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান টিমের প্রধান ও উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের করা তলবি নোটিশ সংশ্লিষ্টদের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনুসন্ধানে নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। গত ১৬ আগস্ট অভিযোগ সংক্রান্ত ১১ ধরনের নথিপত্র দুদকে জমা হয়।
গত ২৮ জুলাই গ্রামীণ টেলিকম পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কিছু অভিযোগ করেছেন দুদকে
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর