সাকিবের সেই কান্নার ছবি আজও পোড়ায় দেশবাসীকে

by Nahid Himel

সাকিবের সেই কান্নার ছবি আজও পোড়ায় দেশবাসীকে

 স্পোর্টস ডেস্ক

 ২৬ আগস্ট ২০২২, ০৩:২৯ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
108Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
print sharing button

এশিয়া কাপ আসলেই সাকিব আল হাসানের একটি ছবি ভেসে আসে স্মৃতিপটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায় সেই ছবি, যা আজও পোড়ায় দেশবাসীকে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে— সাকিবের চোখ ছল ছল করছে। মুখে হাত দিয়ে সেই কান্না লুকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হচ্ছেন এ অলরাউন্ডার।

ঘটনাটি ২০১২ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের। সেবার প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলেও পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ধূলিসাৎ হয়ে যায় বাংলাদেশের এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্ন।

তীরে এসে এমন তরী ডোবার পর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি সাকিব। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন।

সেদিন ফাইনালে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে বাংলাদেশি সমর্থকদের মাথায় হাত! অনেকে তো বুক চেপে কষ্ট লাঘব করছিলেন।  কাদের জেতার কথা ছিল আর জিতল কারা! ‘কী হতে কী হয়ে গেল’র ঘোরই কাটছিল না কারও কারও।

ওদিকে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা যখন শিরোপা জয়ের উদযাপনে মত্ত, তখন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে কান্নার রোল।

ড্রেসিংরুম থেকে ফিরে টাইগারদের কেউ কেউ মাটিতে বসে পড়লেন। কেউ বা শুয়ে।  সবাই কাঁদছেন।  কে কাকে সান্ত্বনা দেবেন!

এনামুল হকের চোখে জল; কাঁদছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে সাকিবেরও। দুঃখ আর সইতে না পেরে একসময় সতীর্থ সাকিবকে জড়িয়ে ধরলেন মুশফিক। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকলেন। সাকিব তখন অজানার উদ্দেশ্যে দুই চোখ রেখে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় মাঠে নেমে পড়লেন ক্রীড়া সাংবাদিকসহ ফটোগ্রাফাররা। তারা একের পর এক ছবি তুলছিলেন। এ সময় সাকিব মুখে হাত দিয়ে নিজের কষ্টটা লুকাতে চাইলেন, যা বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের ক্যামেরাবন্দি হয়।

পর দিন দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমে সাকিবের সেই ছবি প্রকাশিত হয়। আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় ভাসেন দেশবাসী। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জয়ের এত কাছে গিয়েও হারের যে হতাশা, তার প্রতীকী ছবি হয়ে যায় সাকিবের সেই কান্না।

উল্লেখ্য, মিরপুর শেরেবাংলা অনুষ্ঠিত সেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ প্রথম পর্বে ভারত ও শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক করেন ৫৫ রান, শহীদ আফ্রিদি স্বভাবসুলভ ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। সরফরাজ আহমেদ ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও নাজিমুদ্দিন। এর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৮১ রানে তামিম ব্যক্তিগত ৬০ রান করে উমর গুলের বলে আউট হন।

নাজিমু্দ্দিন ৫২ বল খেলে করেন ১৬ রান এবং নাসির হোসেন ৬৩ বল খেলে ২৮ রান করেন।

৭২ বলে ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে আউট হন সাকিব আল হাসান। শেষ পাঁচ ওভারে যখন ৪৭ রান প্রয়োজন, তখন আউট হন মুশফিকুর রহিম।

মাশরাফি বিন মুর্তজা ৩টি চার মেরে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন। তিনি ৪৮তম ওভারে আউট হন। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৯ রানের। আইজাজ চিমার করা শেষ ওভারের শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ৪ রান।

পঞ্চম বলে আব্দুর রাজ্জাক আউট হয়ে যান, শেষ বলে একটি লেগ-বাই রান আসে। বাংলাদেশ ২ রানে হেরে যায়।

এই ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশের সাকিব, মুশফিক, নাসির হোসেনরা মাঠেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

সেই টুর্নামেন্টে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার হন সাকিব আল হাসান।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment