মাত্র নয় সেকেন্ডে ভারতের নয়ডা শহরের বিতর্কিত ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ার’ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।সময় লাগে মাত্র নয় সেকেন্ড ।

Home Lead 5 ধুলোয় মিশে গেল অবৈধ টুইন টাওয়ার ।। সময় মাত্র নয় সেকেন্ডে।।রাবিশ্ ৫৫হাজার টন

ধুলোয় মিশে গেল অবৈধ টুইন টাওয়ার ।। সময় মাত্র নয় সেকেন্ডে।।রাবিশ্ ৫৫হাজার টন

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

 মাত্র নয় সেকেন্ডে ভারতের নয়ডা শহরের বিতর্কিত ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ার’ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।সময় লাগে মাত্র নয় সেকেন্ড ।

 প্রায় চার হাজার বিস্ফোরক দিয়ে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের নয়ডা শহরের ৩২ তলা বিশিষ্ট একটি অবৈধ টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রবিবার মাত্র নয় সেকেন্ড সময়ের মধ্যে সুপারটেক টুইন টাওয়ার নামের আধুনিক ও অভিজাত এই আবাসিক ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। নির্মাণের শুরু থেকেই বিতর্ক সঙ্গী ছিল ভবন দুটি নিয়ে। মাটিতে মিশে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বিতর্কের অবসান ঘটল। তবে এ ঘটনায় আশপাশের কোন স্থাপনা, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একশ’ তিন মিটার উঁচু দিল্লী সীমান্তের কাছের নয়ডা শহরের এই ভবনটিতে প্রায় এক হাজার এ্যাপার্টমেন্ট ছিল। খবর এএফপি ও এনডিটিভি অনলাইনের।

বেআইনীভাবে আকাশচুম্বী এ ভবন দুটি নির্মাণের প্রমাণ পাওয়ায় সুপ্রীমকোর্টের আদেশে এটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এটি ভাঙ্গার আগে নয় বছরের আইনী লড়াই চলে। তবে গুঁড়িয়ে দেয়া গেলেও নয়ডা কর্তৃপক্ষকে এখন ভবন দুটির পাহাড় সদৃশ ধ্বংসস্তূপ সরাতে হবে। বিস্ফোরণের কারণে এই জোড়া টাওয়ারের ৫৫ হাজার টন ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টি হতে পারে বলে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন। সব পরিষ্কার করতে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে এবং এই বর্জ্য নির্ধারিত একটি জায়গায় ডাম্প করা হবে। বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই ভবন দুটির আশপাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়। যানবাহনকে নিকটবর্তী সড়ক থেকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়, জরুরী পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কী করতে হবে তার নির্দেশনাও আগেই জানিয়ে দেয়া হয়। বিস্ফোরণের আগে টাওয়ার দুটিতে তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক পেঁচানো হয়। এমনভাবে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা হয়, যেন ভবন দুটি সোজা নিচের দিকে ভেঙ্গে পড়তে পারে। প্রকৌশলের ভাষায়

এটি ‘জলপ্রপাত কৌশল’ নামে পরিচিত। ধুলা প্রতিরোধে টাওয়ার দুটির কাছাকাছি থাকা অনেক ভবনকে বিশেষ কাপড় দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকাজুড়ে ঘোষণা করা হয় ‘নো ফ্লাই জোন’। মুম্বাইভিত্তিক এডফিস ইঞ্জিনিয়ারিংকে এই দুই টাওয়ার গুঁড়িয়ে ফেলার দায়িত্ব দেয়া হয়। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সুপারটেকের পরিকল্পনা ছিল নয়ডার এই ভবন দুটির প্রত্যেকটি ৪০ তলা উঁচু হবে। কিন্তু আদালতের নির্দেশের কারণে কয়েকটি তলা বানানো যায়নি। প্রাথমিক নক্সায় বাগান ছিল, এমন জায়গায় টাওয়ার দুটি বানানো হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে ২০১২ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয় স্থানীয়রা। ভবন দুটির নক্সা যে বেআইনীভাবে অনুমোদিত হয়েছে পরে তদন্তে তা বের হয়, এজন্য কয়েক কর্মকর্তা শাস্তিও পান। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০১৪ সালে এই সুপারটেক টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয়ার আদেশ দিলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মামলাটি নিয়ে যায় সুপ্রীমকোর্টে। গত বছরের আগস্টে সুপ্রীমকোর্ট তিন মাসের মধ্যে টাওয়ার দুটি গুঁড়িয়ে দেয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment