Home জাতীয় মানহীন ১৭ক্লিনিকে তালা

মানহীন ১৭ক্লিনিকে তালা

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

চট্টগ্রামে অনুমোদনহীন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। সোমবার দিনভর নগরীর ছয়টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এগুলো হচ্ছে-দেশ মেডিকেল সার্ভিসেস, পাঁচলাইশ শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল, ফেয়ার হেলথ হাসপাতাল, হেলথ হোম হাসপাতাল, ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতাল ও মেঘনা ল্যাবরেটরি ক্লিনিক। এর মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন না করেই হাসপাতাল পরিচালনাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দেশ মেডিকেল সার্ভিসেস ও ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৯ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও অভিযান চালানো হয়। নানা অনিয়মের অভিযোগে এর মধ্যে ১৫টি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী, আনোয়ারা উপজেলায় ১টি করে, লোহাগাড়ায় ২টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৩টি, বাঁশখালীতে ৭টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবৈধভাবে পরিচালিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে টানা আরও চারদিন অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, সোমবার নগরের ৬টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় চট্টেশ্বরী রোডে অবস্থিত দেশ মেডিকেল সার্ভিসেস নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা। নার্স হিসাবে যারা কাজ করছেন তাদের অনেকের নেই নার্সিং পাশ করার সনদ। চিকিৎসাকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম। প্রায় একই ধরনের অবস্থা পাঁচলাইশে অবস্থিত ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতালেরও। তাই প্রতিষ্ঠান দুটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া হেলথ হোম প্রাইভেট লিমিটেড ও ফেয়ার হেলথ নামে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, দুপুরে নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের দেশ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালটি ২০১৪ সালের পর নিবন্ধন বা সনদ আর নবায়ন করেননি বা নবায়ন করার চেষ্টা করেননি। এ ছাড়া হাসপাতালটিতে কর্মরত নার্সদের নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সনদ। দেশ হাসপাতাল সার্ভিস থেকে দেওয়া সনদ দিয়েই কাজ করছিল নার্সরা। অথচ নার্সের সনদ দেওয়া হয় নার্সিং ইনস্টিটিউট বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। এ কারণে হাসপাতালটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নানা অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের মোট ১৭টি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment