Home জাতীয় সব সময় সাংঘর্ষিক রাজনীতি করা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

সব সময় সাংঘর্ষিক রাজনীতি করা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

বিএনপির সাংঘর্ষিক এবং না বলার রাজনীতির অবসান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সব কিছুতেই না বলার যে রাজনীতি সেটির অবসান হওয়া প্রয়োজন। যেখানে না বলা দরকার অবশ্যই সেখানে না বলবে। কিন্তু সব কিছুতেই না বলা আর সব সময় সাংঘর্ষিক রাজনীতি করা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে, যেটি বিএনপি করছে।

আমি আশা করব সাংঘর্ষিক রাজনীতি আর না বলার রাজনীতি থেকে বিএনপি নিজেকে মুক্ত করবে। ’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি) আয়োজিত বার্ষিক সাধারণসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাহেব বলেছেন, সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন। কয়েক দিন আগে উনিই বলেছিলেন, উনারা আন্দোলনে আছেন, আবার এখন বলছেন নামবেন―এখন কোনটা সঠিক সেটা বোঝা মুশকিল। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে আমরা শুনছি উনারা আন্দোলনে নামবেন। আর উনাদের আন্দোলন মানে হচ্ছে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা, গাড়ি ভাঙচুর করা, নিজেরা নিজেরা মারামারি করা, পুলিশের ওপর হামলা করা। এবার যদি এগুলো করা হয় তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থাকবে। ’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী এবং প্রেস কাউন্সিলের সদস্য এবং দৈনিক প্রভাত সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এবং সচিব মো. শাহ আলম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ জালাল, সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুর বারী মঞ্জু প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।

সংবাদপত্র পরিষদের উদ্দেশে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাড়ে ১২০০ পত্রিকা, অথচ পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে দেখি সেখানে এত পত্রিকা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রবান্ধব, সাংবাদিকবান্ধব, সে কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে কাগজে; কিন্তু সেগুলো নিয়মিত বের হয় না, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। অনেক পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার। অনেক পত্রিকায় দেখা যায় যে সাংবাদিক নিয়োগ দেয়া হয় কিন্তু তাদের বেতন দেয়া হয় না, বলা হয় যে তোমার বেতন তুমি সংগ্রহ করো। ’

জাতীয় দিবসগুলোতে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দিবসে পত্রিকায় ছাপানোর জন্য ক্রোড়পত্র প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বৈশ্বিক যে অবস্থা বিরাজমান সেটি আপনারা জানেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দসীমার কথাও আপনারা জানেন। কোনো কোনো বড় পত্রিকার ১০-১২ কোটি টাকা বিলও বকেয়া রয়েছে। অবশ্য সরকারি বকেয়া বিল আজ হোক, কাল হোক অবশ্যই পাবেন। কিন্তু আগের মতো যথেচ্ছভাবে ক্রোড়পত্র দেয়ার সুযোগ আর নেই। ’

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment