বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সাহস নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘূর্ণিয়মান উন্নয়নের চাকাকে রুখবার চেষ্টা করবেন না।
গতকাল বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজনে সংসদ উপনেতা ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। হঠাৎ করে আলাউদ্দিনের চেরাগ বাতিতে বা কোনো জাদুতে এই নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জন করে নাই। ২০০৩ সালের কথা মনে করে দেখুন; ২০০৩ সালে আমাদের দেশের মহিলা ফুটবলাররা যখন ফুটবল খেলছিল তখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায়। জামায়াত আর জঙ্গিরা বলেছিল, নারী ফুটবল খেলা বাংলাদেশে হতে পারবে না। হতে পারে কিন্তু ফুলপ্যান্ট আর হিজাব পরে খেলতে হবে। ’
‘সেই নারী ফুটবলকে আমাদের নেত্রী প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছেন’ জানিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, ‘সেই শক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন, তেমনিভাবে আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার বড় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের সঙ্গে সুলতানা কামাল খুকীকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। সুলতানা খুকীকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে আনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু একটি বার্তা দিয়েছিলেন যে নারী ক্রীড়াবিদরা, নারী খেলোয়াড়রা তোমরা এগিয়ে যাও। তার কন্যা শেখ হাসিনাও সে পথে এগিয়েছেন। ’
‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দেশে এসেছে, আমরা অভিনন্দন জানাই। আর আমরা ধিক্কার জানাই ওই বিএনপি-জামায়াতকে, যারা নারীদের পিছিয়ে দিতে সেদিন হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল জঙ্গিদের দিয়ে’, বলেন নানক।
নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, তিনি পাকিস্তানপ্রীতি ভুলতে পারেন না। কারণ পাকিস্তানপ্রিয় একটি দল থেকে তার সৃষ্টি। তিনি পাকিস্তানপ্রিয় একটি দল খুঁজে পেয়েছিলেন, সেই দলটির নাম হলো বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এবং এই বিএনপির স্রষ্টা এবং পাকিস্তানের পাহারাদার ছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান। ’
বেগম সাজেদা চৌধুরী রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, ‘তিনি ছিলেন আমাদের প্রাণের নেত্রী। তিনি আমাদের প্রেরণা, আমাদের শক্তি ও সাহস ছিলেন। ’
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে স্মরণসভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি।