আরো দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প জাতির সঙ্গে মশকরা বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন-‘যেখানে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বলেছে,- ইভিএম চাই না(একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া)।মানুষ নির্বাচন চাচ্ছে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীন"/>
Home মত-দ্বিমত দেয়ার ইজ নো গভর্নেন্স : মির্জা ফখরুল

দেয়ার ইজ নো গভর্নেন্স : মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

আরো দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প জাতির সঙ্গে মশকরা বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন-‘যেখানে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বলেছে,- ইভিএম চাই না(একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া)।মানুষ নির্বাচন চাচ্ছে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ইলেকশন ।সেখানে ইসি ১৫০টি আসনের জন্য আরো ইভিএম মেশিন কিনতে আট হাজার ৭১১ কোটি টাকা চেয়েছে। এটা কি মগের মুল্লুক।দেয়ার ইজ নো গভর্নেন্স।

গতকাল বুধবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি প্ল্যানিং কমিশনের মিটিংয়ে খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, এখানে বেশির ভাগ যে প্রজেক্ট তৈরি করা হয় সেই প্রজেক্ট তৈরি করা হয় চুরির জন্য এবং দেখা যায় যে বিশাল ফারাক বাস্তবতার সঙ্গে।

পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহের নামে হয়রানি করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার নামে হয়রানি করছে এবং দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিকে আরো আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীদের একজনের কাছ থেকে অন্যজনের তথ্য সংগ্রহেও লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহের কমিটির তালিকাও তারা সংগ্রহ করছে।

।ফৌজদারি কার্যবিধির যেসব ধারায় পুলিশ কর্তৃক নাগরিকের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, চলমান অবস্থায় এটা দৃশত প্রতীয়মান হয় পুলিশ বিএনপিসহ ভিন্নমতালম্বীদের দমনের উদ্দেশ্যে তাদের গণহারে শুধু নাম-ঠিকানা নয়, তাদের পেশা, সন্তান-সম্পত্তির বিবরণসহ চৌদ্দ গোষ্ঠীর যাবতীয় বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে, যা দেশের বিরাজমান আতঙ্কের পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলেছে। বিএনপি এই অবস্থার অবসান চায়।

তিনি পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এভাবে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তারা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন।

 

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সামনে তারা একরকম কথা বলে আর কাজ করে আরেক রকম। গণমাধ্যমের সামনে ভালো ভালো কথা বলে। পুলিশের কাছে আমরা মামলা করলে সেটা খারিজ হয়ে যায়। পল্লবীতে হামলার ঘটনায় আমরা যে মামলার আবেদন করেছি সেটা খারিজ করে দেয়া হয়েছে। আর আমাদের ছেলেদের বিরুদ্ধে তারা (আওয়ামী লীগ) যে মামলা করেছে ওটার আবার তদন্ত শুরু হয়েছে। ৩৯টা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। ’

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখন আন্দোলন যত বিস্তৃত হচ্ছে, ওদের (পুলিশ) খোঁজখবর নেয়াও এখন বিস্তৃত হচ্ছে। এখন ওয়ার্ড পর্যন্ত, জেলা-উপজেলা পর্যন্ত সব নেতাকর্মীর ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে তারা। মুশকিল হচ্ছে একবার নিলে তো একটা কথা। ভয় দেখানোর জন্য বারবার ওরা তথ্য নিচ্ছে। ’

 

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ তার সহধর্মিণীর ওপর  সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এভাবে সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা, বুলু ও তার স্ত্রীর ওপর যেভাবে মারপিট করা হয়েছে তা কল্পনাতীত। অথচ এখন পর্যন্ত সেখানে কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি, একটা মামলাও করা হয়নি।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment