চলতি বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে প্রায় ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপোতে ভারত থেকে আসছে আমদানির ডিজেল।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে পার্বতীপুরে তেল আনতে প্রতি ব্যারেলের পরিবহন ব্যয় হয় প্রায় ৮ ডলার। কিন্তু পাইপ লাইনে ভারত থেকে আমদানি করা ডিজেল পার্বতীপুরে আনতে ব্যয় হবে ব্যারেল প্রতি ৫ ডলার। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে পরিবহনের ক্ষেত্রে সময় লাগতো ২/১ দিন। আর পাইপ লাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুরে ডিজেল সরবরাহ করতে লাগবে ১ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। তাই সরকার সব দিক বিবেচনা করে কৃষিপ্রধান উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় নিরবচ্ছিন্ন ডিজেল সরবরাহের গতি বাড়াতে শিলিগুঁড়ির এনআরএল থেকে ডিজেল আমদানির পরিকল্পনা নেয়।
শিলিগুঁড়ি থেকে পার্বতীপুর ডিপোর দূরত্ব ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারতীয় অংশে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে ৮২ কিলোমিটার, দিনাজপুরে ৩৫ কিলোমিটার ও নীলফামারী জেলা এলাকায় ৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। তবে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পে পাইপ কেনা, স্থাপন করা ও কারিগরি যাবতীয় ব্যয় ভারতীয় সরকার বহন করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়।
বিপিসি’র সূত্র মারফত আরও জানা যায়, পাইপ লাইন প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। তবে করোনার কারণে কাজের গতি কিছুটা শিথিল হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পার্বতীপুর ডিপোতে বাফার স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা স্টিলের পাত এখনো না আসায় কাজ কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব ট্যাংকের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে এই ডিপোর মজুদের ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টনের কিছু বেশি।