মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল ও গায়িকা মেরিলিন মনরোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হলিউডের আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র রক সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা এলভিস প্রিসলির সঙ্গে। অসম জুটির দুই কিংবদন্তির প্রেমকাহিনি স¤প্রতি ফাঁস করেছে এলভিসের এজেন্ট বাইরন।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, এলভিস-মনরোর গোপন প্রেমকাহিনি। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬০ সালের জুনে এলভিস মনরোর প্রথম পরিচয় হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আমেরিকায় প্যারামাউন্ট স্টুডিওর সেটে দেখা হওয়ার পর থেকে প্রায়ই তাদের সাক্ষাৎ হতো। তবে এ খবর মিডিয়ার সামনে আসুক, তা কখনোই চাননি মনরো।
বয়সে নয় বছরের বড় হলেও মনরোকে ভীষণ ভালোবাসতেন এলভিস প্রিসলি। যার একমাত্র সাক্ষী বাইরন। দীর্ঘ ৬২ বছর এই তথ্য নিজের মনে চেপে রাখলেও এতদিনে হঠাৎ কেন তিনি বোমা ফাটিয়েছেন, এমন প্রশ্ন এখন অনেক মানুষের মনেই।
ভেনিসে প্রদর্শিত মেরিলিন মনরোর জীবননির্ভর ‘বøন্ড’ ছবিটিই নাকি আগের স্মৃতিকে তাজা করে তুলেছে বাইরনের। তার সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো মনরো নাকি প্রায়ই এলভিসকে প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এতে নাকি ভীষণভাবে ভেঙে পড়ে এলভিস। তবে এলভিসের করুণ অবস্থা দেখে শেষ পর্যন্ত আর তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি হলিউডের ড্রিমগার্ল মনরো।
সোনালি কেশ আর মায়াবী চোখের অধিকারী মনরো নাকি এলভিসকে প্রায়ই বলতেন, তুমি খুব ভালো গিটার বাজাও। তবে এসব তথ্য একেবারেই বিশ্বাস করছেন না অনেক ভক্ত-অনুরাগী। তারা বলছেন, মনরো কখনো তার চেয়ে বয়সে ছোট এমন নয়; বরং বয়সে বড় এমন পুরুষদের পছন্দ করতেন। আর এলভিস নাকি ভালো কণ্ঠশিল্পী হলেও ভালো গিটারিস্ট নন।
কারণ হিসেবে ভক্তরা বলছেন, এলভিস গিটার হাতে নিয়ে মঞ্চে উঠলেও সেটিকে খুব একটা দেখেনি কেউ। তাই ‘‘রেড রোজ’-এর সঙ্গে ‘কিং’-এর এই প্রণয় কাহিনিটি অনেকটাই মনগড়া রূপকথার মতো।
তবে মনরোর জীবনে আসলেই কী ঘটেছিল, তা জানা যাবে আগামী ২৮ আগস্ট। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে চলেছে মনরোর জীবনের মর্মান্তিক পরিণতির চিত্রায়ণ ‘ব্লন্ড’, যা থেকে দর্শক জানতে পারবেন জনপ্রিয় এই গায়িকা, অভিনেত্রীর জীবনের অনেক অজানা তথ্যই।-