Home Lead 1 জনগণ যতক্ষণ সঙ্গে আছে, চিন্তার কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

জনগণ যতক্ষণ সঙ্গে আছে, চিন্তার কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

জনগণ যতক্ষণ সঙ্গে আছে, আমাদের চিন্তার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীরে শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে, তারমধ্যেও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ-এগুলো সবসময় আমাদের মোকাবিলা করতে হয়, করতে হবে। সেটা আমরা করতে পারব। জনগণই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে আছে, আমাদের চিন্তার কিছু নেই।

জনগণকে কাজে লাগাতে হবে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, যেভাবে করোনা মোকবিলা করেছি, সেই একইভাবে যুদ্ধের সময় যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, যে ভয়াবহতা দেখা দিচ্ছে-এটা থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, এই মর্যাদাটা ধরে রেখে আমরা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।

প্রতিটি নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে যা যা করণীয় তা করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ প্রকল্পের অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৩৬২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ২ হাজার ৩৮৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত সচেতন ও সতর্ক রয়েছি। কল্যাণমূলক ও অতি প্রয়োজনীয় এমন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকা শহরের দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার খাল পুনরুদ্ধার, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নাগরিক সেবার মান্নোয়নে ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর জলাবদ্ধতা যেমন দূর হবে, তেমনি আমরা একটা পরিচ্ছন্ন নগরী পাবো। মশার প্রকোপ কমে যাবে।’
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৬২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং বাকী ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা পাওয়া যাবে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে। অক্টোবর ২০২২ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে- সীম্যান্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ‘ইমপ্রুভিং দ্য রিহ্যাবিলিটি এন্ড সেফটি অন ন্যাশনাল হাইওয়েজ করিডোরস অব বাংলাদেশ বাই ইনট্রোডাকশন অব ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস)’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২ কোটি টাকা। ঘোনাপাড়া হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ (শেখ লুৎফর রহমান সেতু এ্যাপ্রোচসহ) সড়কাংশ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment