জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ডিমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেট দায়ী। ডিমের দাম এখনো সিন্ডিকেট হেরফের করছে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যানিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটি ‘ডিমের পুষ্টি ও বাংলাদেশের ডিম শিল্প’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আগস্টের শুরুতে তেলের দাম বাড়লে ডিমের দাম বাড়া শুরু হয়। তা ১৩ আগস্টে এসে অস্বাভাবিক হয়ে যায়। তখন আমরা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে অভিযানে যেতে বাধ্য হই। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী ডিম আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানালে ডিমের দাম কমে যায়। আমরা প্রমাণ পাই যে, করপোরেট কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। আমরা তখন বাণিজ্যমন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে ১১ দফা সুপারিশ দেই।
তিনি বলেন, এখন কয়েক সপ্তাহ ধরে দাম বাড়ছে। সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এসব করছেন। তাদের যদি সম্পৃক্ততা না থাকতো তবে মুরগির বাচ্চার দাম বাড়তো না। করপোরেট গ্রুপগুলো সরকারের সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু ছোট খামারিরা কিছুই পাচ্ছে না। কিছু করপোরেট গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ অ্যানিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটির সভাপতি কৃষিবিদ মো. মোরশেদ আলম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম, এফএও’র লাইভস্টক এক্সপার্ট জুলিয়াস গিথিজ্ঞি মুচেমি, সাংবাদিক সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা, কলামিস্ট সোহরাব হাসান, এস এম আকাশ, প্রণব সাহা প্রমুখ।
ডিমের বাজার মূল্য ভোক্তা পর্যায়ে সহনীয় রাখতে ভর্তুকি প্রয়োজন বলে জানান বক্তারা। একটি পোলট্রি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে এই শিল্পকে সুসংহত করা প্রয়োজন বরে মনে করেন তারা।