‘দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গতকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমরা শুরু থেকেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে সহিংসতা-গোলযোগ-গণ্ডগোলের তথ্য পাইনি। কেন্দ্রগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আমরা সন্তুষ্ট।
সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামীতে এ অভিজ্ঞতা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটাররা এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।
জেলা নির্বাচনে গাইবান্ধা নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে কি না প্রশ্নে সিইসি বলেন, গাইবান্ধা নির্বাচন থেকে একটা মেসেজ এসেছে। যেহেতু নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাই অনিয়ম হলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া যাবে। আমাদের মনে হয় এর একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট এই নির্বাচনে পড়েছে।
এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন নারী সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে নির্বাচিত হওয়ায় এ দুই জেলায় নির্বাচন হবে না।
এবারের নির্বাচনে ৫৭টি জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা- চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন এবং সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন। সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি। মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।
ভোটকেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাতজন সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। প্রতিটি কেন্দ্রের পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার ও র্যাবের একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয় গত ২৩ আগস্ট। পার্বত্য তিন জেলা বাদে দেশের জেলা পরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে এ তফসিল ঘোষণা করা হয়।