চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা ৪ ডিসেম্বর। এতে উপস্থিত থাকবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এই জনসভা সফল করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। আজ নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে তিন সাংগঠনিক জেলা শাখার যৌথ বর্ধিত সভা হবে। ওই সভা থেকে জনসভা সফল করার ছক তৈরি হবে। দেওয়া হবে গাইডলাইন। বিএনপির পলোগ্রাউন্ডের গণসমাবেশের বিপরীতে আওয়ামী লীগের পাল্টা এই জনসভাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিচ্ছেন নেতারা। যে কোনো মূল্যে সর্বোচ্চসংখ্যক উপস্থিতির মাধ্যমে বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চান তারা।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক যুগান্তরকে বলেন, ‘তৃণমূল সম্মেলন চার মাস আগে শুরু হলেও নানা কারণে এখন সবগুলো ইউনিট, ওয়ার্ড বা থানা কমিটির সম্মেলন শেষ করা যায়নি। আপাতত ৪ ডিসেম্বরের জনসভা কী করে সফল করা যায় সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছি। তবে এরই মধ্যে বিরোধ বা বিতর্ক নেই এমন ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে।’
সূত্র জানায়, ২৮ জুন আওয়ামী লীগ ইউনিট পর্যায় থেকে সম্মেলন শুরু করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা কারণে যে গতিতে তৃণমূল সম্মেলন হয়ে যাওয়ার কথা সে গতিতে হয়নি। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতায় ১৫টি সাংগঠনিক থানা, ৪৩টি ওয়ার্ড ও ১৩৭টি ইউনিট রয়েছে। দেখা গেছে, বিগত চার মাসে মাত্র ১০টি ইউনিট ও ২টি থানা কমিটি গঠন হয়েছে। ইউনিট ও থানা মিলে আরও ১৮৩ কমিটি গঠন বাকি রয়েছে। এসব কমিটি গঠন শেষ হলেই নগর সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতায় ৮২০টি ওয়ার্ড, ৯৬টি ইউনিয়ন, ৮টি থানা, ও ৬টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি থানা, ২টি পৌরসভা এবং বেশ কিছু ইউনিয়ন এবং সবগুলো ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জনসভাটাই এখন আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তৃণমূলের কোনো সম্মেলন যদি করা নাও যায়, সেক্ষেত্রে কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হবে। জাতীয় সম্মেলনের আগে জেলা সম্মেলনও করে ফেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর তৃণমূল সম্মেলনের দিকে আমরা নজর দেব।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম যুগান্তরকে বলেন, ‘৯ নভেম্বর (বুধবার) যৌথ বর্ধিত সভা থেকে একটি গাইডলাইন পাওয়া যাবে। সেখানে ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রী-এমপিরাও উপস্থিত থাকবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ৪ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করতে সেই গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করব। জনসভায় সর্বোচ্চ উপস্থিতির মাধ্যমে বিএনপিকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে চাই।’