Home জাতীয় পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান ৷৷ অন্যান্য কূপেও অনুসন্ধানে সুফল মিলতে পারে

পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান ৷৷ অন্যান্য কূপেও অনুসন্ধানে সুফল মিলতে পারে

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

সিলেটের বিয়ানীবাজারে একটি পরিত্যক্ত কূপে নতুন করে গ্যাস পাওয়া গেছে। বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের এ সময়ে এটা আশাব্যঞ্জক ঘটনা অবশ্যই। জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১৪ সালে কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। কিছু রক্ষণাবেক্ষণের পর ২০১৭ সালে আরও সাত মাস গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এরপর কূপটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে গ্যাস সংকটের কারণে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে প্রায় সর্বত্র। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের উল্লেখযোগ্য অংশ সরবরাহ করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এছাড়া সার কারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, গৃহস্থালি (আবাসিক), সিএনজি এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এ কারণে গ্যাস খাতকে দেওয়া উচিত সর্বোচ্চ গুরুত্ব। দেশে দীর্ঘদিন ধরে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও আবিষ্কারে ত্রিমাত্রিক সার্ভে সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয়সংখ্যক কূপ খনন করা হলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এ মুহূর্তে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের অনুসন্ধান বা নতুন কূপ খননের ব্যয়বহুল কার্যক্রমের চেয়ে পুরোনো কূপে বেশি গুরুত্ব দেওয়াই সমীচীন। জানা গেছে, দেশীয় কোম্পানির আওতায় থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলোর বেশিরভাগই ষাটের দশকের।

পুরোনো এ গ্যাসক্ষেত্রগুলোয় নতুন করে কম্প্রেসার না বসানোর ফলে উৎপাদন কমে গেছে। তবে বিদেশি কোম্পানিগুলোর আওতায় থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলোয় সময়মতো কম্প্রেসার বসানোর ফলে তারা উৎপাদন যথাযথ মাত্রায় ধরে রাখতে পেরেছে। তাই দেশীয় কোম্পানিগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। সেই সঙ্গে গ্যাসের অপচয় রোধেও নিতে হবে ব্যবস্থা।

 

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment