বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে বর্ধিত সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত বিরূপ পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি এ সহায়তা চেয়েছেন।
গত রোববার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় সফররত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার। সাক্ষাতের সময় তিনি এ সহায়তার কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। প্রতিষ্ঠানটি আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরমধ্যে অর্থছাড় করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। আমরা এ পর্যন্ত সুদ ও আসলসহ ৬ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি। ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ এক বিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পেয়েছে। চলতি অর্থ বছরেই আরও ৫০০ মিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত করতে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ‘বিউটিফিকেশন অব ঢাকা’ নামে একটি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন তারা। এর ফলে হাতিরঝিলের মতো ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর সোন্দর্য বাড়বে। বিশ্বব্যাংক এ খাতে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়েছে।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং গুয়াংজে চেন, রিজিয়নাল ডিরেক্টর ও ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন।