কুমিল্লার মেঘনায় প্রেমের ফাঁদে পড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া কিশোরীকে (১৮) বিক্রি করে দেওয়া হয় পাবনার এক যৌনপল্লীতে।
১৫ দিন পর বিভিন্ন কৌশলে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মধ্যস্থতা করে ওই কিশোরীকে চাকরিজীবী এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে মেঘনা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে পাবনার এক যুবকের সঙ্গে পুলিশের মধ্যস্থতায় দুই লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয় ওই কিশোরীর। বিল্লাল হোসেন নামে পাবনার ওই যুবক একটি ডেইরি ফার্মে চাকরি করেন।
মেঘনা থানার ওসি মো. ছমি উদ্দিন জানান, মেঘনা এলাকায় কাজ করতে আসা কাউসার নামক এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই কিশোরীর। গত ১৯ নভেম্বর প্রেমিক কাউসারের ফাঁদে পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। পরে তাকে নিয়ে পাবনার একটি যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয় প্রেমিক কাউসার। কিশোরীর পরিবার তাকে খুঁজে না পেয়ে গত রোববার মেঘনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
ওসি বলেন, ডায়েরির দায়িত্ব পান মেঘনা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন। তিনি তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত সোমবার রাতে পাবনা শহরের একটি যৌনপল্লী থেকে পাবনা থানা পুলিশের সহায়তায় উদ্ধারের পর কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি আরও বলেন, পাবনায় থাকাকালীন এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। কিশোরীকে উদ্ধার করে আনার পর বিল্লাল পাবনা থেকে মেঘনা থানায় এসে ওই কিশোরীকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব পেশ করেন। ওই কিশোরীর বাবা-মাকে খবর দিয়ে থানায় এনে বিয়ের বিষয়ে জানানো হলে তারাও রাজি হন। পরে দুই লাখ টাকা কাবিনে মঙ্গলবার কিশোরীর বাড়িতে তাদের বিয়ে হয়।
এ ঘটনায় প্রেমিক কাউসারকে খুঁজছে পুলিশ। তাকে খুঁজে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।