জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সব সময় সংবিধান সমুন্নত রেখেছিলেন। গণমানুষের ওপর আস্থা আর গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় মওদুদ আহমদের জায়গায় প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদকে উপ-রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ জাতীয় পার্টির সঙ্গে অবিচার করেছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক অধিকার থেকে জাতীয় পার্টিকে বঞ্চিত করেন তিনি। কিন্তু দেশ ও মানুষের ভালোবাসায় সেই নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি ৩৫টি আসনে নির্বাচিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি আয়োজিত সংবিধান সংরক্ষণ দিবসের আলোচনায় সভাপতির বক্তৃতায় মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সাথে আর নয়। বড় কোনো দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টি প্রেম করবে না। জাতীয় পার্টির প্রেম দেশের সাধারণ মানুষের সাথে। আওয়ামী লীগ আর বিএনপির নীতিগত অনেক অমিল আছে। অনেক ইস্যুর কারণে তারা এক টেবিলে বসতে পারে না। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে তাদের মধ্যে চরিত্রগত কোনো অমিল নেই। ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজি আর দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের শান্তি শেষ করেছে। দেশের মানুষ তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দুটি দলের ওপর দেশের মানুষ বিরক্ত হয়ে আছে।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হেরে বিএনপি বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আবার ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
তিনি বলেন, শুধু আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেল ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আখতার এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, অধ্যাপক আবুল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, লাকি আখতার, নাজনীন সুলতানা, মাহবুবুর রহমান লিপটন, মমতাজ উদ্দিন, মনির আহমেদ প্রমুখ।